Saturday, July 15, 2017

আলপনা ঘোষ



মধুপুর বাংলো
আলপনা ঘোষ


চলো পাখি ফিরে  যাই। মধুপুর নাম  শুনলেই মনটা    ছোটবেলায় চলে যায়বিহার প্রবাসী বাঙালিদের এক প্রিয় জায়গা মধুপুর.শীত কালে বেড়াতে যাওয়ার একমাত্র ডেস্টিনেশন বাড়ির সবাই মিলে  একসঙ্গে একমাসের জন্য মধুপুর যাওয়া, ওখানের খোলা হাওয়া, বিশাল গোলাপ বাগান,নাম ছিল বাহান্ন বিঘা যেখানে কেবল গোলাপের চাষ হতো, এখন সব কিছু কেবল স্মৃতি হয়ে মনে বিরাজ করছিলো। আবার একবার সেই ছোটবেলার মধুপুরকে দেখার সুযোগ হয়ে গেলো।আমার ছোটবেলার বন্ধু হৈমন্তী আর তার বোন মঞ্জরীর( বাড়ির নাম  টুনটুন)  মধুপুরে  ওদের দাদু এবং দাদুর বাবার (গ্রেট গ্রান্ড) বাড়ি আছে ওরা যাচ্ছে আমিও ওদের সঙ্গে  যাবার কথা বললাম ওরা এক কথায় রাজি।  সেই মতো আমি ভাগলপুর এক্সপ্রেস এ যাত্রা করে রাত নয়টায়  মধুপুর স্টেশনে নামলাম, দেখি হাসি মুখে হৈমন্তী দাঁড়িয়ে আছে আর সঙ্গে টিঙ্কু,ওর সারথি, হৈমন্তী  বললো টিঙ্কু ওদের সব জায়গায় নিয়ে যায় গাড়ি করে, অনেকদিন জানা চেনা বাড়ির ছেলের মতো। হাসিমুখে  টিঙ্কু আমার জিনিস পত্র নিয়ে চললো, আমাদের গল্প শুরু হলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই  গাড়ি বন্ধ গেটে সামনে দাঁড়িয়ে হর্ন দিল। একজন এসে গেট খুলে দিল, গাড়ি বাগানের মধ্যে দিয়ে দাড়াঁলো এক বিশাল প্রাসাদের মতো বাড়ির সামনে

মাতৃকা

       
আমি অবাক!! এতো বড় আর এতো সুন্দর বাড়ি! সামনে বিরাট গোল বারান্দা, ভিতরে বড়  সোফা  দিয়ে সাজানো ড্রয়ইং রুম,তারপর ডাইনিং রুম, কত গুলো বড় বড় বেড রুম, সব কিছু সাজানো, বেশির ভাগ এন্টিক জিনিস দিয়েআমি তো মুগ্ধ বিস্মিত! হৈমন্তীর  বোন মঞ্জরীর সঙ্গে আলাপ হলো প্রথম দেখাতেই ওকে ভালোবেসে ফেললাম মিষ্টি চেহারা, সাদাসিধে কথা বার্তা।গল্প করতে করতে বেশ তার হয়ে গেলো মঞ্জরী হাঁক দিল " সরখেল " দেখি একজন বেশ বয়স্ক লোক দৌড়ে এসে বললো হ্যাঁ দিদি খাবার রেডিবাড়ির পুরোনো লোক, নামটি বেশ মজার "সরখেল" কিন্তু অত্যন্ত সেবাপরায়ন খাবার টেবিলে গিয়ে অবাক এ যে ফাইভস্টার হোটেলের মতো সাজানো খাবার!   তেমনি বিরাট ডাইনিং টেবিল এমনকি জলের জাগটাও দেখার মতো। সুস্বাদু মেনু গল্প করতে করতে খাওয়া শেষ করে আবার ড্রয়ইং  রুমে শেষ বেশ কিছুক্ষন গল্প হলো তারপর ঘরে গিয়ে টান্ টান্ করে সাদা চাদর লাগানো, মশারি  খাটানো বিছানায় শুয়ে পড়লাম।    
   
পরদিন পাখির গানে  ঘুম ভাঙলো, দেখি সবে  ভোরের  আকাশ রাঙা হচ্ছে পূর্ব গগনে সূর্যদেব লালিমা নিয়ে হাজির হচ্ছেন! পাখির কলতান তাঁকে  স্বাগত জানাচ্ছেআমি উঠেই বেরিয়ে পড়লাম বাগানে, অপরূপ দৃশ্য! রাতে বাগান দেখতে পাইনিবিশাল খোলা মেলা বাগানে ঘেরা বাড়ি,খোলা নীল আকাশ, যেন স্বপ্নের দেশে রয়েছি  মনে হলো পুব দিক রাঙা,কত রকমের ফুলের সৌরভ,বিশাল উঁচু শিমূল তার লালফুল,জবা গাছে  লালজবা সদ্য ফুটি ফুটি করছে, জলপাই গাছের কচি লাল পাতা গাছটাকে লাল করে দিয়েছে, আরো কত ফুল তাদের সৌরভ ছড়িয়ে দিচ্ছে,সঙ্গে পাখির কলতান, সবমিলিয়ে মন আপ্লুত হয়ে গেলো,কতদিন পরে বৌ কথা কও,হলুদ পাখি,বুলবুলি,কোকিল, ছাতারে পাখি, ময়না, শালিখ দেখলাম, ওদের মিষ্টি গানের সঙ্গে  মর্নিং ওয়াক, মুগ্ধ হয়ে প্রকৃতির রূপে মজে গেলাম, রোজ সকালে শহরের গাড়ির হর্ন,নানা রকমের আওয়াজ সব ভুলে গেলামদেখি মঞ্জরীও উঠে এসেছে দুজনে বেশি কথা না বলে প্রকৃতির সৌন্দর্য্যতেই আকৃষ্ট হয়ে মুগ্ধ হয়ে হাঁটলাম। একটু পরে হৈমন্তীও আমাদের সঙ্গে যোগ দিল।
  
বেলা হতে সকালের চায়ের সঙ্গে কিছু তত্ব কথা আর  ভক্তিগীতিতে সকালটা মধুর হয়ে উঠতোতারমধ্যে সংখ গদাধর নীল কলেবরগানটি যেন আমাদের মনে উন্মাদনার সৃষ্টি করে দিত।বেলা বাড়তে আমাদের জন্য সুন্দর করে ব্রেকফাস্ট তৈরী করে ডাক দিত। আমরা ব্রেকফাস্ট শেষে তৈরী হয়ে কপিল আশ্রমের স্বামীজীর সঙ্গে দেখা করার জন্য টিঙ্কু ড্রাইভারের সঙ্গে কপিল আশ্রমের  দিকে যাবার সময় হৈমন্তী আর মঞ্জরীর ঠাকুরদার বাবার বাড়ি সাধুসঙ্গ  দেখে মুগ্ধ এটাও বিশাল প্রাসাদের মতো বাগান ঘেরা  বাড়ি,   পুরোনোদিনের লোকেদের সৌন্দর্য্য জ্ঞান এবং প্রকৃতি প্রিয়তার কথা ভাবতে লাগলাম
      
সাধুসঙ্গ


কপিল আশ্রমে স্বামীজীর সঙ্গে দেখা এবং তাঁর আধ্যাত্মিক কথা শুনে মন আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে গেলো। মনে হলো মধুপুর আসা যেন সার্থক হয়েছেআশ্রমের পিছন দিকে আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী হরিহরানন্দ এবং ওনার শিষ্য ( ?) দুটি স্মৃতি সৌধ রয়েছে ওখানে গিয়ে নির্জন পরিবেশে সকলে ধ্যান করে আমরাও গিয়ে ওখানে শান্তিপূর্ণ জায়গায় কিছুক্ষন ধ্যান করলাম খুব শান্তি ওখানে

                                     
শ্রী হরিহরানন্দ স্মৃতিসৌধ



এরপর  রোজই স্বামীজীর সঙ্গে সকাল,বিকাল ওনার সঙ্গে দেখা ওনার কথা শুনে করে মন অধ্যাতিকতায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠলোওখানেই এক বিদেশী ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ হলো, তিনি নরওয়ে থেকে স্বামীজীর সাথে দেখা করতে এসেছেন, নাম ন্যূটটুনটুন ওনার সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারলো ওনার নাম মিস্টার ন্যূট নরওয়ে থেকে এসেছেন সাংখ্য যোগের ওপর রিসার্চ করছেন  বেনারসে।  কথায় কথায় জানলাম ওনার অনেক বই পাবলিশ হয়েছে বিরাট পন্ডিত লোক। খুবই অমায়িক,নম্র কিন্তু অশেষ গুনের ভান্ডারী তিনি সাংখ্য যোগের একজন জ্ঞানী  পুরুষ। আমাদের তো খুব ভালো লাগলো একজন এতদূর থেকে কেবল সাংখ্য দর্শন জানতে কপিল আশ্রমে এসেছেনওনার সাথে কথা বলে খুবই অনুপ্রেরণা পেলাম হাতে বাংলা কপিল আশ্রমের ম্যাগাজিন দেখে জিজ্ঞেস করতে জানলাম উনি  বাংলা ভাষা আয়ত্ব করতে চেষ্টা করছেন   
  
দুপুরে আবার সরখেলের আপ্যায়নে ভালো খাবার। বিকেলে আবার স্বামীজীর সঙ্গে দেখা করে আমরা মধুপুর শহরের মধ্যে একটু ঘুরলাম  অবাক হয়ে দেখলাম প্রায়  কিছুই বদলায়নি, সেই ছোট শহর, কেবল বদলেছে বাঙালিদের বিশাল বিশাল অট্টালিকাগুলো, এখন দেখি ভগ্ন দশায় রয়েছে,মধুপুরের বিখ্যাত গোলাপ বাগান বাহান্ন বিঘা, তার চিন্হমাত্র নেই সেখানে নতুন বাড়ি উঠেছেটেগোর প্যালেস বলে একটি ঠাকুর বাড়ির ইতিহ্যময় বাড়ি রয়েছে, দেখলাম সেটাও এখন হোটেলে পরিণত হয়েছে  মনটা খারাপ হলেও কালের গতি বলে মেনে নিলাম কিছু বাড়ি অবশিষ্ঠ আছে তার মধ্যে হৈমন্তী,মঞ্জরীদের দাদু এবং দাদুর বাবার বাড়ি  নাম মাতৃকা আর সাধুসঙ্গ 



ভগ্নঅট্টালিকা


পরদিন আমরা সকাল  সকাল ওখানের নাম করা কালী মন্দির পাথরেল কালী বাড়ি গেলাম ছোট মন্দির হৈমন্তী মঞ্জরীদের ওখানে সবাই চেনে ছোটবেলা থেকেই যাতায়াত। পান্ডাদের উৎপাতে মনটা খারাপ হয়ে গেলো মায়ের কাছে এসে শান্তিতে পুজো করবো তার উপায় নেই। কোনোরকমে পুজো দিয়ে আবার আমরা স্বামীজীর সাথে দেখাকরে বাড়ি ফিরলামদুপুর থেকেই আকাশ কালো করে আসছিল বিকেলের বাগানে বেড়াতে বেড়াতে বিদ্যুৎ চমকাতে লাগলো আমরা ভেতরে চলে এলাম, স রখেল চা দিয়ে গেলো বাইরে তাকিয়ে দেখি মেঘের ঘনঘটা আর বিদ্যুতের ঝিলিক বেড়ে গেলো সঙ্গে সঙ্গে লোড শেডিং ঘন অন্ধকার, সরখেল জানালো জেনারেটরে তেল নেই,ইনভার্টার কাজ করছে না  অতএব আমরা একটা হ্যারিকেন জ্বালিয়ে বসলাম সে এক অদ্ভুত অনুভূতি বিশাল বাগান বাড়ি ঘন অন্ধকারে ডুবে আছে আর বাইরে মেঘ গর্জন আর বিদ্যুতের ঝলকানিটুনটুন  গান চালিয়ে  দিল ওই আসে অতি ভৈরবে হরষে……. লণ্ঠনের   আলোয়  আমরা মুগ্ধ বিস্ময়ে মেঘ বিদ্যুতের খেলা দেখলাম প্রায় এক দেড় ঘন্টা দেখলাম, এ এক অনুভূতি ভাষায় ব্যক্ত করার যায় নারাত্রি নয়টার সময় লাইট এর দেখা পেলাম আমরা রাতের খাওয়া সেরে শুভরাত্রি করলাম। আবার ভোর, বৃষ্টিস্নাত বাগান আজ যেন আরো সুন্দর হয়ে সেজে উঠেছে,ফুলের সুগন্ধ যেন আজ বেশি, পাখিগুলিও আজ যেন আনন্দে শীষ দিচ্ছে করে বেশি করে আমরা তিন জন্যে মনের আনন্দে বাগানে ঘুরলাম অনেক্ষন হৈমন্তী আর টুন্টুন্  ওদের ছোটবেলার অনেক দুস্টুমি,খেলার কথা বললো। টুনটুনির মন বনফুলের মালা দিয়ে ঠাকুর সাজাবার জন্য উতলা হয়ে উঠলো

বেলা এগারোটায় টিঙ্কু ঠিক এসে হাজির ও আজ আমাদের বুড়ই পাহাড়ে নিয়ে যাবে।কপিল আশ্রমে স্বামীজিকে প্রণাম করে আমরা ওর সঙ্গে বেরিয়ে পড়লাম, আমরা বুড়ই পাহাড়ের দিকে এগোলাম।আমরা মধুপুর মধুমাসে গিয়েছি, মার্চ মাস, ঝাড়খাখন্ডে পলাশের আগুন সমস্ত জঙ্গলে রাস্তা অপূর্ব, দুপাশে কেবল পলাশ আগুন জ্বালিয়ে রেখেছে গাছের মাথায়,গাছের নিচে বিছিয়ে আছে লাল কার্পেট,প্রকৃতির অপরূপ  মনোমোহিনী রূপ  দেখতে দেখতে এগোচ্ছি! ঝাড়খণ্ডের এই ফুল ফরেস্ট ফ্লেম বলে সারা পৃথিবী বিখ্যাত   মাঝে মাঝে সাঁওতালি গ্রাম ঝকঝকে নিকোনো দেওয়াল, অঙ্গন  দেখতে দেখতে এগোচ্ছি হটাৎ টুনটুনের  ইচ্ছে  হলো সাঁওতালি বাড়ির ছবি নেবার গাড়ি থামলোবাড়ি পরিষ্কার,নিকোনো দাওয়া, বাড়ির দরজার সামনে মালকিনি দাঁড়িয়ে সঙ্গে কচি শিশু, ফটোর কথা শুনে লজ্জায় মরে  গেলো, কিছুতেই রাজি নয়  ফটো তুলতে অনেক কষ্ট করে বুঝিয়ে শেষে  একটা ফটো হলো

অনেক্ষন নির্জন রাস্তায় পলাশের সৌন্দর্য্য দেখতে দেখতে দূরে দেখা গেলো বুড়ই পাহাড়।  এরকম অদ্ভুত পাহাড় কখনো দেখিনি বেশি উঁচু নয় কিন্তু সারা পাহাড়ের গায়ে ছোট ছোট গর্ত, দূর থেকে মনে হয় গরু হেঁটে গেলে যেমন নরম মাটিতে গোলগোল ছাপ পড়ে তেমনি কিন্তু কাছে গেলে দেখলাম পাথর ইরোড করে এই গর্ত গুলো হয়েছে।  চারিদিক নির্জন পাহাড়ের নিচে বেশ বড় খুব সুন্দর একটা পুকুর চারিদিকে ঘাট বাঁধানো। পাহাড়ের ওপরে গ্রাম্য মন্দির কেউ কোথাও নেই ওপরে কয়েকটা গুহা তার মধ্যে  সিঁদুর লাগানো কয়েকটা পাথর, গুহা বেশি গভীর নয়।  গুহার সামনে বলি দেওয়ার জন্য  ব্যবস্থা।  আমরা ঘুরে দেখছি এমনসময় একজন এসে উদয় হলো সে জানালো মন্দিরে প্রত্যেক মঙ্গলবার মানতের পাঁঠা বলি হয় তখন লোক আসে।  এতো নির্জন জায়গায় আমাদের একটু গা ছম ছম করতে লাগলো কিন্তু চারিকের দৃশ্য আমাদের আকৃষ্ট করে রেখেছিল। একটু দূর দেখলাম যাত্রী নিবাস তৈরী হচ্ছে হয়তো ভবিষ্যতে  অনেক জনসমাগম হবে। আমরাও সিঁদুর মাখা শিলাকে প্রণাম করে ফেরার রাস্তা ধরলাম। 


পরদিন ফেরার পালা কিন্তু ট্রেন তো রাতে সকালে আমরা যথারীতি টিঙ্কু সারথির সঙ্গে চললাম একটা গ্রামে নাম ফাগো। হৈমন্তী,টুনটুনের ছোটবেলা থেকেই ওই গ্রামের ছোট কালী মন্দির দর্শন করতে যেত এবার আমি সঙ্গে   একটু এগোতেই জঙ্গল রাস্তা খুব ভালো, ফাল্গুন মাস জঙ্গলে আগুন লেগে আছে পলাশে পলাশে রাঙিয়ে রেখেছে পুরো জঙ্গল অপূর্ব দৃশ্য টুনটুনির খেয়াল হলো কিছু পলাশ ফুল নিয়ে যাবার টিঙ্কু গাড়ি দাঁড় করিয়ে ওর জন্য অঞ্জলি  ভরে আগুন রাঙা  পলাশের পাপড়ি জোগাড় করে আনলো। আমরা জঙ্গলের সৌন্দর্য্যে মোহিতে হয়েছিল লাম টিঙ্কু বললো ফাগো এসে গেছে। দেখি একটা ঘেরা জায়গায় মন্দির। োর বললো াগ নাকি একবারে খোলা জায়গায় ছোট মন্দির ছিল এখন নাকি অনেক বোরো হয়েছে ভিতরে কুঁয়া র জলে হাত পা ধুয়ে মন্দিরে গেলাম দেখি মন্দির বন্ধ  টিঙ্কু ছুটলো পন্ডিতকে ডাকতে। কিছুক্ষন পরে পন্ডিত এলেন আমাদের সুন্দর করে পুজো করলেন। মূর্তি দেখে মন ভোরে গেলো জবার মালয় সাজানো মা কে দর্শন করে মন খুব ভালো হয়ে গেলো। ফেরার পথে মধুপুরের বিখ্যাত মিষ্টি ছানার মুড়কি কিনলাম আরো অনেক রকম মিষ্টি নিয়ে ফিরলাম মনটা  একটু করে খারাপ হতে শুরু করলো, এই আনন্দযজ্ঞ ছেড়ে চলে যেতে হবে। দুপুরে বিশ্রাম নিয়ে আবার চায়ের আড্ডা, বাগানে ঘুরতে ঘুরতে প্রত্যেকটা দৃশ্য মনের মনিকোঠায় ভরে  নিলাম। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে গেলো, আমি তৈরী হলাম শেষবারের মতো সরখেলের হাতের রান্না খেয়ে টিঙ্কুর গাড়িতে রওনা হলাম স্টেশনের দিকে। ট্রেন এলো অজস্র মধুর স্মৃতি আর বন্ধুদের ভালোবাসা নিয়ে ট্রেনে বসলাম। হৈমন্তীর হাত নাড়া ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেলো, চোখটা ভিজে উঠেছিল হৈমন্তীদের চোখও কি চিকচিক করছিলো ? চলো পাখি ফিরে  যাই।         


1 comment:

  1. চমৎকার লেখা। যেন আমিও বেড়িয়ে এলাম।

    ReplyDelete